প্রকাশিত: / বার পড়া হয়েছে
নিজস্ব প্রতিবেদক:
ফেনী জেলার, দাগনভূঞা থানার ৪ নং রামনগর ইউনিয়নের সেকান্দর পুর গ্রামের কৃতি সন্তান কাতার প্রবাসী ব্যাবসায়ী খোরশেদ আলম ভুঁইয়া, নিরবে নিভৃতে করে যাচ্ছেন অসহায় মানুষের সেবা। গরীব দুঃখী অসহায় মানুষের পরম বন্ধু খোরশেদ আলম ভুঁইয়া অনেক বছর হতে অসহায় দুস্থ মানুষের পাশে দাড়ালেও তা ছিল অনেক টা গোপনে ও নিরবে, কিন্তু বিগত করোনা কালীন সময় এবং ফেনীর ভয়াবহ বন্যায় তার মানবিক কাজের বিষয় গুলো প্রকাশ্যে আসে এবং এলাকা বাসীর কাছে আত্ব মানবতার সেবক হিসাবে হন প্রশংসিত।
বিগত করোনা কালীন সময়ে যখন মানুষ অনেকটা ঘর বন্দী হয়ে পড়ে, ভাইরাস সংক্রমণের ভয়ে যখন কেউ কারো মুখ দেখতে চায়নি, যখন ঘরে ঘরে খাবার সংকট, তখনই ভাইরাস আতংক কে পাশ কাটিয়ে অসহায় ঘরবন্দী মানুষের ঘরে ঘরে নিজের ফান্ড হতে সাধ্যমতো মানবতার পাশে দাড়ান খোরশেদ আলম ভুঁইয়া। এলাকার বাড়িতে বাড়িতে নিজে গিয়ে ও সেচ্ছাসেবক টিমের মাধ্যমে পৌছান খাবার, পানি, ও প্রয়োজনীয় উপকরন।
জুলাই আগষ্ট বিপ্লব পরবর্তী ভারতের পানি আগ্রাসনে যখন ফেনী বাসীর নাকাল অবস্থা ঠিক তখনই নিজের এলাকার মানুষের পাশে সেবক হিসাবে ছুটে আসেন খোরশেদ আলম, ভয়াবহ বন্যায় প্রায় সব বাড়ি ঘর যখন পানির নিছে তখন নিজ ও পারিবারিক উদ্যোগে টিম গঠন করে সবাইকে আশ্রয় কেন্দ্রে এনে দৈনিক ৩ থেকে ৪ হাজার আশ্রিত মানুষকে খাবার ও বিশুদ্ধ পানির ব্যাবস্থা করেন, নিজের তহবিল ছাড়াও সেনাবাহিনীর সাবেক কর্মকর্তাদের কাছ হতে ত্রান সংগ্রহ করে তা এলাকাবাসীর মাজে বন্টন, বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত বাড়িতে বাড়িতে উপহার সামগ্রী পৌছানো এবং পূনর্বাসন ( চলমান) সহ নিজ উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়ে প্রশংসায় ভাসছেন খোরশেদ আলম।
এ ছাড়া, এলাকায় গরীব মেয়েদের বিয়ে, এতিম ও দুস্থদের পড়া লেখার খরচ সহ সকল সংকট ময় মূহুর্তে এলাকার জনগনের পাশে থেকে তাদের দূর্যোগ দূর্ভোগ লাগবের চেষ্টা করে যাচ্ছেন মানবিক খোরশেদ আলম ভুঁইয়া।
এসব মানবিক কাজের উদ্দেশ্য কি জানতে চাইলে তিনি বলেন আমি কোন কিছু পাওয়ার আসায় এসব কাজ করছি না, মানুষ হয়ে মানুষের পাশে দাড়ানো আমার কর্তব্য এবং দায়িত্ব। তাই দায়িত্ববোধ থেকে আমি আমার সাধ্যমত এলাকার জনগনের পাশে ছিলাম আছি এবং থাকবো ইনশাআল্লাহ।